কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো
আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে নয় দফা পিছিয়েছিলো সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন। এবার একই কারণে পিছিয়ে গেলো আলোচিত এই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণও। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও বাদি পক্ষ সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক মো. মকবুল আহসান।
এদিকে সোমবার আদালতে সিলেটের বরখাস্তকৃত সিটি মেয়র আরিফুল হকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেডিকেল বোর্ডের দাখিল করা প্রতিবেদন বিষয়ে ও হবিগঞ্জের বরখাস্তকৃত পৌর মেয়র জিকে গউছের জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বিষয়ে আদেশ পরবর্তীতে দেয়া হবে বলে জানান বিচারক।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠিত হয়। ওই দিন আরিফুল হকের আইনজীবীরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আদালতে আবেদন জানান। আদালত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরিফুল হকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আদালতের এই নির্দেশের ৬৭ ঘণ্টা পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত আরিফের বিভিন্ন ডায়গনেস্টিক পরীক্ষা করা হয়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট আদালতে দাখিল করে কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাদি পক্ষের সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় মামলার কাজ পিছিয়ে যাবার আশঙ্কা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ লালা।
তবে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম তারিখ তাই সাক্ষীদের হাজির করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী তারিখে সাক্ষীদের হাজির করা হবে। যথা সময়ে মামলা নিষ্পত্তি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ মামলায় ১৭১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর