১০ টাকা কেজির ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৯

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের মহারাজপুর মধ্যেপাড়া এলাকার শাহিন শেখের মুদি দোকান থেকে এ চালগুলো উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে মুদি দোকানি শাহিন শেখ পালাতাক রয়েছেন।

বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, আমার ইউনিয়নের কোলারহাটের সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজির চাল) ডিলার মতিউর রহমান অবৈধভাবে চাল বিক্রি করবে- এমন খবর পেয়ে মেম্বারদের খবর নিতে বলি। পড়ে বিকেলে জানতে পারি মহারাজপুরের মুদি দোকানদার শাহিন চাল কিনে তার দোকানে নিয়ে আসছে। এ সময় শাহিনের দোকানের সামনে থেকে মেম্বার ও এলাকাবাসী একটি ভ্যানসহ ১০ বস্তা চাল জব্দ করে।

চেয়ারম্যান জানান, পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে ১০ বস্তা চাল জব্দের পর শাহিনের দোকান খুলেেআরও ৪০ বস্তা চাল পেয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসলে মতিউর ডিলার হলেও রাজিব নামে এক ব্যক্তি এটি পরিচালনা করেন। তারা দুইজন মিলে অবৈধভাবে শুক্রবারে চাল বিক্রি করেছে। কিন্তু শুক্রবারে কোনো চাল বিক্রির কথা ছিল না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কোলারহাটের ডিলার মতিউর জানান, তিনি অবৈধভাবে কারও কাছে কোনো চাল বিক্রি করেননি। নির্ধারিত কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিক্রি করেছেন। ৬৩৬ জন কার্ডধারীর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৫৪৩ জনের মধ্যে চাল ব্রিক্রি করেছেন। বাকি চাল তার গোডাউনে মজুত রয়েছে।

শুক্রবার চাল বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ট্যাগ অফিসারকে জানিয়ে কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিক্রি করেছি। কার্ডধারীর বাইরে কারও কাছে কোনো চাল বিক্রি করিনি।

খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ মো শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক আটক করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে- চালের ডিলার ও শাহিন যোগসাজসে এই চাল বিক্রির জন্য দোকানে এনে রেখেছিলেন।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।