পদ্মার পানি কমলেও শঙ্কা কাটছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৯

রাজশাহীতে কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৮ দশমিক ১৭ মিটার উচ্চতায়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ১৮ দশমিক ১৯ মিটার পানি প্রবাহিত হয়। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ প্রবাহের রেকর্ড।

রাজশাহীতে পদ্মায় বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। গতকাল বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাবার পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ থেকেই কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি।

পদ্মার বড়কুঠি পয়েন্টের পানির প্রবাহ পরিমাপক (গেজ রিডার) এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মায় পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৮ দশমিক ১৯ মিটারে। এরপর থেকে পদ্মায় প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। এক সেন্টিমিটার করে শুক্রবার সকাল ৬টা পানির প্রবাহ ছিল ১৮ দশমিক ১৮ মিটার। সকাল ৯টায় একই উচ্চতায় বইছিল পদ্মা। এরপর দুপুর ১২টায় আরেক সেন্টিমিটার কমে প্রবাহ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ১৭ মিটারে। বিকেল ৩টায় একই উচ্চতায় বইছিল পদ্মা। উজানের ঢল কমে আসায় পদ্মায় পানি কমছে।

rajshahi-flood02

এদিকে পানি কমলেও পদ্মাতীরের পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা উপজেলার নিমাঞ্চল পানির নিচে রয়েছে। পানি কমার বিষয়টি এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে পানি কমতে শুরু করার পর নদী ভাঙনের শঙ্কা স্থানীয়দের।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দফতর জানিয়েছে, অসময়ের বন্যায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৪ হাজার ৪৪১টি পরিবার। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২৪৫টি পরিবার। জেলার পবা উপজেলার সাড়ে তিন বর্গ কিলোমিটার, গোদাগাড়ীর তিন বর্গকিলোমিটার এবং বাঘার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও চারঘাটের পদ্মা তীরবর্তী নিচু এলাকাতেও ঢুকেছে বন্যার পানি।

বন্যায় পবায় ৬৫ হেক্টর, গোদাগাড়ীতে ৪০ হেক্টর, বাঘায় ৪০ হেক্টর এবং চারঘাটে ৭ হেক্টর ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলার ২০ হেক্টর করে ৪০ হেক্টর ফসলি জমি। এছাড়া পবায় তিনটি স্কুল ও দুটি মসজিদ, বাঘায় দুটি স্কুল ও ৯টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় জেলার চারঘাটের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পড়েছে হুমকির মুখে। সব মিলিয়ে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে বন্যা দুর্গতের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে ৪ হাজার ১৩৩ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৯২ দশমিক ৬০ টন চাল, ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, ১৫২ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণ বাবদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।