পদ্মায় তীব্র স্রোত, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৯

পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে ৫টি ফেরি দিয়ে চলছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬টি ফেরি ঘাটের ৩টি ঘাটে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি ভিড়তে না পারায় বন্ধ রয়েছে। এতে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা ঘাট সংশ্লিষ্ঠদের।

এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ১৩ ও পাংশা সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১ ও সেনগ্রাম পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুব হোসেন জানান, তীব্র স্রোতের কারণে এ নৌরুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে আজ ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩টি বড় রো রো ও ২টি ছোট ফেরি। অন্য ফেরিগুলো স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছে না। এছাড়া স্রোতের কারণে ১, ২ ও ৫নং ফেরি ঘাটে ফেরি ফিরতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ৩, ৪ ও ৬নং ঘাট সচল রয়েছে।

তিনি আরও জানান, দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে যাত্রবাহী বাস, ব্যাক্তিগত ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েকশ যানবাহন সিরিয়ালে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যানবাহনগুলোকে বিকল্প রুট হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে। স্রোত কমলে বন্ধ থাকা ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারে যুক্ত করা হবে।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।