তীরে এসে ফিরে গেল ১৬ ট্রাক পেঁয়াজ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এর আগের শনিবার সর্বশেষ বেনাপোল বন্দরে খুলনার এক আমদানিকারকের ৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

রফতানি বন্ধ ঘোষণা পাওয়ার পর পেঁয়াজভর্তি ১৬টি ট্রাক রোববার রাতে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সবশেষ পেঁয়াজভর্তি ওই ১৬টি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার কথা ছিল। এ অবস্থায় রোববার ও সোমবার কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। মূলত বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ওপর।

চলতি বছরে বন্যায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য প্লাবিত হওয়ায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এ বছর ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের মূল্য চড়া। এরই প্রেক্ষিতে পেঁঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। এক রাতের ব্যবধানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

সাধারণ ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ক্রেতাদের ওপর। আমদানি বন্ধের খবর পেয়ে বেনাপোলসহ যশোরে ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ সোমবার ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এক রাতের ব্যবধানে এমন আকাশছোঁয়া দামের কারণে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ক্রেতারা।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের। নেই কোনো উদ্যোগ। ভোক্তা অধিকার সংস্থাও রয়েছে চুপচাপ। যেন দেখার কেউই নেই।

আড়তদার ও দোকানিরা জানান, যে দামে কিনছি সে দামেই বিক্রি করছি। আমাদের কিছুই করার নেই। আমাদের নিজেদেরও বাড়িতে পেঁয়াজ পাঠাতে কষ্ট হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকায় মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজের বাজার মূল্য আরও বাড়বে। হয়তো দেড়শ টাকা হয়ে যাবে পেঁয়াজের কেজি।

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের আড়তদার সলেমান মন্ডল বলেন, হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। মোকাম থেকে আমাদের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। বাইরের পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়।

তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মজুত করায় বাজারে পেঁয়াজ এখন কম। সেই সঙ্গে দামও বাড়তি। বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলে মূল্য সহজে কমবে না।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুদিনে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ভারতের কাছ থেকে পেঁয়াজের একটি বড় আমদাদিকারক বাংলাদেশ। পেঁয়াজের চাহিদার একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে মূল্য বেড়ে গেছে।

জামাল হোসেন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।