অগ্রণী ব্যাংকে ডাকাতি : ২ আনসার সদস্য রিমান্ডে
যশোরের রাজারহাটে অগ্রণী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় আটক নৈশকালীন প্রহরার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য বিশ্বজিৎ ও সাইদুলকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ গণি মিয়া বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
রিমান্ডে নেয়া বিশ্বজিৎ রায় খুলনার বটিয়াঘাটা গ্রামের বৃত্তিখলসিগুনিয়া গ্রামের তারক চন্দ্র রায়ের ছেলে এবং সাইদুল ইসলাম একই উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামের সিদ্দিক মুন্সির ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে অগ্রণী ব্যাংকের শহরতলীর রাজারহাট শাখা ভবনের জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতরা ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ব্যাংকের ভল্ট কেটে ২১ লাখ ৮ হাজার টাকা ও ৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।
এ ঘটনায় নৈশকালীন প্রহরার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য বিশ্বজিৎ ও সাইদুলকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ব্যাংকের ভিতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেন। পরে তাদের আটক দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার পুলিশ সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায়। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রি তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় থেকে উপ-মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যদের একটি দল তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরে গেছেন। তাদের দুইদিনের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। আর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি বকসির নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক ওয়াদুদ আলী বলেন, জমা দেয়া প্রতিবেদনে কিভাবে ডাকাতি হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে।
মিলন রহমান/এসএস/আরআইপি