হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর একজনের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাত জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
   
রোববার বেলা ২টার দিকে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মৌলভীবাজারের পতনউষার গোপীনগর এলাকার আজাদুর রহমান আজাদ (৫৫), তার ছেলে জুয়েল (২৫) ও আজাদের ভাতিজা আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুস সামাদ রুবেল (২৬)।
 
পাশাপাশি মামলার ২০১ ধারায় মরদেহ গুমের অপরাধে কই এলাকার উস্তার মিয়া মাস্টারের ছেলে মুহিদ মিয়া (৩৫) ও সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আরো পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলেন, সাজাপ্রাপ্ত আজাদুর রহমানের স্ত্রী ডলি বেগম, মেয়ে আমিনা আক্তার জুঁই, সাজাপ্রাপ্ত রুবেলের মা আলমা বেগম এবং মাসুক মিয়া, আজমান মিয়া, শাহীন মিয়া, আফরোজ মিয়া।    

অভিযোগপত্র ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট রাতে প্রেম সংক্রান্ত কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার গোপীনগর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে নয়াবাজারের তরুণ ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ খুন হন।

দাওয়াত খাওয়ানোর নাম করে মজিদকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে খুন করেন আজাদুর রহমানসহ তার পরিবারের লোকজন। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে একটি ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। পরদিন ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহের সুরতহাল করতে গিয়ে দেখে- মরদেহের কানে শিকল ঢোকানো হয়। দুই কান কাটা এবং চোখ দুইটি উপড়ে ফেলা এবং পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়।

ঘটনার দুই দিন পর ১ সেপ্টেম্বর নিহত মজিদের বাবা আব্দুর রহমান ১১ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, রুবেল, জুয়েল, আজাদ, মুহিদ, মাসুক, আফরুজ, সাহিন, আজমান, ডলি, আলমা ও নিহতের প্রেমিকা জুঁই।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে। চার্জ গঠনের পর সর্বশেষ বুধবার এ মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও পুনরায় রোববার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর জানান, রায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একজনের ৫ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড এবং ৭ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহতের পিতা আবদুর রহমান ও মামা আব্দু রব বলেন, আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম আসামিদের যেনো মৃত্যুদণ্ড হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।