ঝালকাঠির মসলার বাজারে ঈদের গরম


প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো বাড়ছে মসলার চাহিদা। আর এ সুযোগে অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে গরম হতে শুরু করেছে মসলার বাজার।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় খরচ বেড়েছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্য পণ্যের উপর। বিভিন্ন অজুহাতে এ সকল পণ্যের দর বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের বাজার এখনো অস্থির। এরপরও চোখে পড়ছে না কোনো ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা। তবে ঈদের আগে যদি পাইকারি বাজারে মনিটরিং করা না হয় তাহলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

শনিবার শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি জিরা ৩শ ২০ থেকে ৩শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেজপাতা ১শ ৮০ থেকে ২শ, দারচিনি ২শ ২০ থেকে ৮০, লবঙ্গ ও এলাচ ১ হাজার ১শ থেকে ১ হাজার ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালো গোল মরিচ আগে দেড়শ থেকে ৩ শ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ২শ থেকে ৩শ টাকা বাড়িয়ে জয়ফল বিক্রি করছে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকায়।

কিসমিস সাড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৬শ, আলু বাখারা ৪শ থেকে ৬শ, সাদা গোল মরিচ ১ হাজার ৪শ থেকে দেড় হাজার এবং কালো এলাচ ২ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া আগের বাড়তি দরে ৯শ ৫০ থেকে ৯শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁঠবাদাম।

পোস্তাদানা ৮ শ থেকে ১ হাজার, হলুদের গুঁড়া ১শ ৮০ থেকে ২শ ৫০, মরিচের গুঁড়া ১শ ৯০ থেকে ২শ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হলেও প্রকারভেদে দেশি রসুন ৮০-৯০, মোটা রসুন ১শ -১শ ৩০ এবং আদা ১শ ২০-১শ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

জেলা শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি বাজার, ফায়ার সার্ভিস মোড়ের মুদির দোকান, বড় বাজার এলাকার খুচরা মসলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজার পর বেশির ভাগ মসলার দাম কমলেও গত সপ্তাহ থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মসলার সংকটের কথা বলছেন। তাই ঈদের আগেই পাইকারি বাজারে মনিটরিং করা না গেলে মসলার দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার পাইকারি বাজারে গেলে মসলার সংকটের কথা বলা হয়েছে। তার মানে দাম বাড়বে। অথচ ঈদের মাত্র ৩/৪ দিন সময় রয়েছে।

পূর্ব চাঁদকাঠি বাজারের কুন্ডু ফেনী স্টোরের সত্ত্বাধিকারী কানু কুন্ডু জানান, কোরবানির পশুরহাট বসার পর মসলার চাহিদা প্রতি বছরই বাড়ে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ী খোকন লাল ব্রাহ্ম জানান, মসলার দাম একটু বেড়েছে। চাহিদা বেশি হলে দাম একটু বাড়ে এটাই স্বাভাবিক।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।