চাঁদপুরের পশুরহাটগুলোতে দেশীয় গরুর প্রাধান্য


প্রকাশিত: ০৬:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র চার দিন বাকি। ঈদুল আযহার উপলক্ষে চাঁদপুরের পশুর হাটগুলোতে গরু আসতে শুরু করেছে। এসব গরুর মধ্যে ভারতীয় গরুর সংখ্যা খুবই কম। দেশীয় গরুর প্রাধান্যই বেশি। তবে এখনো ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। যারাই গরু কিনতে এসেছেন তাদের দাবি এবার গরুর দাম অনেক বেশি।

তবে বেপারিরা বলছেন, গরু আনতে ট্রাক, নৌকা ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ অনেক বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি। এদিকে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে এবার পর্যাপ্ত গরু মজুদ রয়েছে। ভারত থেকে গরু আমদানি না হলেও দেশের মজুদ গরু দিয়ে চাহিদা মিটানো যাবে।

দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় গরু আসছে। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রায় প্রতিদিন সহস্রাধিক ভারতীয় গরু ঢুকছে দেশে। পরবর্তীতে এসব গরু করিডোর হয়ে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতীয় গরুর আমদানি দেখে দেশের খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

চড়া দামে গো খাদ্য কিনে গরু মোটা তাজা করলেও প্রকৃত দাম না পাওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন তারা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম একটু বেশি। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এবার তারা বেশি দাম দিয়ে গরু কিনেছেন ফলে বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে। অন্যথায় বিরাট লোকশান গুণতে হবে তাদের। এদিকে কিছু কিছু বাজারে কম পরিমাণ গরু উঠলেও দাম চাওয়া হচ্ছে অনেক বেশি।

তবে অনেক ক্রেতাকে বাজারে ঘুরতে দেখা গেলেও তারা এখনো গরু কিনতে আগ্রহী নন। এদিকে গরু ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ বিভাগ। গরুর হাটগুলোতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন থাকছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।