সৌদিতে নিহত বাতেনের বাড়িতে শোকের মাতম


প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে মর্টার শেল হামলায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতেন মিয়ারর (২৫) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার বিকেলে বাতেনের গ্রামের বাড়ি নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গুলপুকুরিয়া গ্রামে তার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছানোর পর সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। নিহত বাতেন গুলপুকুরিয়া গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে। গত ৮ মাস আগে বাড়ি এসে বিয়ে করে আবার সৌদি আরবে যান তিনি।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র বাবা-মায়ের সন্তান বাতেন মিয়া। তিন শতাংশ ফসলি জমি আর দেড় শতাংশের ভিটে-বাড়ি ছাড়া সম্পদ বলতে আর কোনো কিছুই নেই তাদের। পরিবারের জন্য একটু সুখের আশায় মহাজনের কাছ থেকে সুদে তিন লাখ টাকা নিয়ে ২০০৭ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে একটি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ শুরু করেন।

সৌদি আরব থেকে প্রতি মাসে বাতেনের পাঠানো টাকা দিয়েই চলতো তাদের সংসার। অনেকটা সুখে-শান্তিতেই কাটছিল তার পরিবারের দিনগুলো। কিন্তু সেই সুখ আর স্থায়ী হলো না। শুক্রবার  বিকেলে সৌদি আরব থেকে বাতেনের চাচাতো ভাই জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে যখন তার মৃত্যুর সংবাদ জানাচ্ছিলেন তখন বাতেনের পরিবারের লোকজনদের মাথায় যেন বিশাল আকাশটা ভেঙ্গে পড়ে।

"/
প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর খবরে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মূর্ছা যাচ্ছেন মা ঝর্ণা বেগম। সন্তানের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাবা মোহন মিয়া। আর স্বামীর অকাল প্রয়াণে স্ত্রী রিমা আক্তার এখন পাগল প্রায়।

এ ব্যাপারে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম রফিকুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে প্রথম বাতেনের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন তারা। নিহত বাতেনের পরিবার খুবই দরিদ্র, তার আয়ের উপরই সংসার চলতো।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।