রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট : দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ
চট্টগ্রামে গ্রেফতার তিন রোহিঙ্গার নোয়াখালী থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার ঘটনায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) দুই সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের কাছে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ডিএসবির এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদা।
সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গারা নোয়াখালী থেকে পাসপোর্টে পাওয়ার ঘটনায় ডিএসবির দুই এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে সম্প্রতি পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) শাহজাহান শেখকে এ বিষয়ে তদন্ত করে পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার তা দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে অভিযোগগুলো কি ছিল তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, এর আগে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত শনিবার থেকে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাদেরকে আগামী সাতদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চট্টগ্রামে গ্রেফতার তিন রোহিঙ্গা যুবক নোয়াখালীর সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নের জন্ম ও নাগরিক সনদ দেখিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করেছেন। পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) কর্তৃক তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্টের মাধ্যমে এ পাসপোর্ট ইস্যু করে জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। কিন্তু কীভাবে পুলিশ এ রিপোর্ট দিল তা নিয়ে জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
মিজানুর রহমান/আরএআর/জেআইএম