বিপৎসীমায় তিস্তার পানি, বাঁধ ভেঙে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া একটি বাঁধ ভেঙে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তার ডান তীরের দক্ষিণ ধুবনী এলাকার একটি বাঁধ ভেঙে যায়। এতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিংঙ্গীমারী, সিন্দুর্ণা,পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এলাকা প্লাবিত হয়ে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তা পারের মানুষ।

tista-(4).jpg

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, সিঙ্গীমারীর দক্ষিণ ধুবনী এলাকায় একটি বাঁধ ভেঙে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারি সাহায্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

tista-(4).jpg

দক্ষিণ ধুবনীর গ্রামের শরিফ মন্ডল (৩৫) বলেন, আজ বিকেলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে পানি শুধুই বাড়ছে।

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, ভারী বর্ষণে উজানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

tista-(4).jpg

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন তিস্তার একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সার্বক্ষণিক তিস্তাপাড়ের মানুষের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।

রবিউল হাসান/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।