শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নেয়া হলো : কাদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্যায়-অনিয়ম যেই করুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অন্যায় যে করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ফ্লাইওভার পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেখভাল করছেন। ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন সম্পন্ন করতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তবে কিছু জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন সম্মেলন বাকি আছে। জাতীয় সম্মেলনের আগেই এ সম্মেলন শেষ করা হবে। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

নবনির্মিত ভুলতা ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের ভুলতা ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। যানজট নিরসন ও জনদুর্ভোগ কমাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় সুযোগ মতো যেকোনো দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান সংগঠনের ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ এক বছর না পেরোতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা ওঠে আসে।

এর মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করা অন্যতম। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা, ফোন রিসিভ না করার অভিযোগও আছে।

মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।