গরু পালন করে স্বাবলম্বী ৫ শতাধিক নারী


প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গরু পালনে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়ার নারীরা। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এ জেলার ৫ শতাধিক নারী কোরবানি উপলক্ষে গরু লালন-পালন করেছেন। এতে একদিকে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক মর্যাদা। স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এ সকল নারীদের গরু পালনে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের আফিরুলের স্ত্রী সাদিয়া খাতুন। স্বামী নছিমন চালিয়ে যা আয় করেন তাতে তিন ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ জুগিয়ে সংসার চলে না। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে ৫ বছর আগে সাদিয়া স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোরবানির গরু লালন পালন শুরু করেন। নিবিড় পরিচর্যা করে কোরবানির আগে বাজারজাতকেণের জন্য প্রস্তুত করেন গরুগুলো। এখন সাদিয়ার সংসারে আর অভাব নেই। এবারও তিনি ৩টি গরু প্রস্তুত করেছেন কোরবানি উপলক্ষে। গরুর দামও উঠেছে আশানুরূপ।

সাদিয়া খাতুন জানান, তারা কোরবানির ঈদের পর অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে গরু কিনে সন্তানের মত লালন পালন করেন। বিছালি, ঘাস, গমের ভাত, ভূষি খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করে পরের কোরবানিতে বিক্রি করেন।

কেবল সাদিয়া নয়, তার মত ৫ শতাধিক নারী এগিয়ে এসেছেন গরু পালনে। এসব নারীদের অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো। সেতু সংস্থার সহকারী পরিচালক মফিজুল ইসলাম জানান, গরু পালনে আমরা আর্থিক সহায়তা করে থাকি। এতে দিন দিন গরু পালনে নারীরা আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যহারের অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এখানকার খামারিরা। তাদের দাবি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তারা কোনো ওষুধ ব্যবহার করেন না।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশাদুল হক জাগো নিউজকে জানান, জেলায় ১৬ হাজার খামারি এবার ৭৫ হাজার গরু পালন করেছেন। তবে কোনো খামারেই ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার মতে সারা দেশের নারীরা গরু পালনে এগিয়ে আসলে কোরবানির গরুর চাহিদা মেটাতে বিদেশ নির্ভরতা থাকবে না।

আল-মামুন সাগর/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।