১৩ বছরের প্রেম, বিষ নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির তরুণী
মাগুরায় বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে এক প্রমিকা। তাকে একা পেয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই দাবিতে এর আগেও ওই প্রেমিক মাগুরা মহাম্মাদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের রফিকুলের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে উঠেছিল। পরে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে সেটা মীমাংসা করে দেয়া হয়।
অনশনরত ওই মেয়েটি বলেন, প্রেমিক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে আমার দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্ক। আমার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাবার পরও সে আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। সে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন কুৎসা রটায়। এজন্য আমার স্বামী এবং শাশুড়ি আমাকে মারধর করে। বিয়ের কিছুদিন পরেই আমি তার প্ররোচনায় পড়ে সেই স্বামীকে তালাক দেই।
এরপর আমি পড়ালেখা চালিয়ে যাই। একপর্যায়ে সে আমাকে ঢাকায় নিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়। দুইজন ভিন্ন বাসায় থাকলেও দুজনের যাওয়া আসা ছিল। তখন সে আমাকে ১০ বছর পর বিয়ে করবে বলে কথা দেয়। আমিও অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও সে নানা টালবাহানা করে বিয়ের বিষয় এড়িয়ে যায়। এর একপর্যায়ে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
বিয়ের কথা বললে সে আমাকে পাগলা হইছো বলে আখ্যা দেয়। এখন আমি নিরুপায় হয়ে বিষের বোতল সঙ্গে নিয়ে প্রেমিক রফিকুলের বাড়িতে এসেছি। সে আমাকে বিবাহ করে গ্রহন না করলে আমি মারা যাব। কারণ এ ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। তার কারণে আমি ঘর সংসার ত্যাগ করে এতদিন অপেক্ষা করছি।
প্রেমিক রফিকুলের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, পড়ালেখার সুবাদে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ভালো বন্ধু হিসেবে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করে সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ফুল মিয়া বলেন, ঘটনা জানার পর ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দু’পক্ষকে নিয়ে আমি সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
আরাফাত হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ