নদীগর্ভে ৫ শতাধিক বাড়ি, তিস্তার পাড়ে বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভয়াবহ বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে উপজেলার শ্রীপুর, কাপাশিয়া ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অসময়ে ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে শ্রীপুর ইউনিয়নের পুটিমারী এলাকার শতশত মানুষ তিস্তা পাড়ে একত্রে হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে অন্তত ৫০ জন হাজি ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন।

এলাকাবাসী জানান, তিস্তা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীপুর ও কাপাশিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৮ কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে ভাঙনের মুখে পড়েছে শতশত বাড়ি ও ফসলি জমি। এ অবস্থায় এ এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ করা না হলে বিলীন হয়ে যাবে হাজার হাজার বাড়িঘর ও ফসলি জমি। তাই এলাকাবাসী ভাঙন থেকে রক্ষায পেতে বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেন।

Gaibandha

শ্রীপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন নামে একজন হাজি জানান, বড় বড় এমপি, মন্ত্রীরা শুধু আশ্বাসের বানী শোনায়। বাস্তবে কোনো কাজের কাজ হয় না। তাই তারা সবাই মিলে একত্র হয়ে ভাঙন থেকে রক্ষার পেতে বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাতের আয়োজন করেন। একমাত্র আল্লাহই পারবে ভাঙন থেকে এ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে।

বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মজিবর রহমান জানান, শ্রীপুর ও কাপাশিয়া ইউনিয়নের ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। এ এলাকার মানুষকে ভাঙন থেকে রক্ষায় তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য বিশাল আকারের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।

জাহিদ খন্দকার/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।