রাজশাহীতে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট


প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কোরবানি ঈদের আর মাত্র সাতদিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীর বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে মফস্বলে গড়ে উঠা বাজারগুলোতে বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে।

রাজশাহীতে কাকনহাট, চৌবাড়িয়া হাট, তাহেরপুর ও রাজশাহী সিটি বাইপাসসহ কয়েকটি বড় পশুরহাট রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি বাইপাস পশুরহাট অন্যতম। ঈদ আসলেই এই হাটটিতে দেশি ও ভারতীয় গরু কানায় কানায় ভরে যায়।

নগরীর সিটি পশুরহাটে কথা হয় নোয়াখালীর গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ও রাজ্জাকের সঙ্গে। তারা বলেন, এবার গরুর দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। ভারত থেকে গরু না পাঠানোর জন্য দাম বেড়েছে বলে তারা জানান। ভারত থেকে গরু আসবে জেনে তারা এখনো গরু কেনেন নি।

নওহাটার সাইফুল নামের গরু খামারী বলেন, এবার গো খাদ্যের দাম বেশি থাকলেও গতবারের চেয়ে গরুর দাম অনেক বেশি বলে ভাল লাভ হবে। ঈদে বিক্রির জন্য অনেকে শখ করে গরু পালন করেন। এ সকল গরু পালকরা লাভ ক্ষতি দেখেন না। তবে ঈদে মাংসের দামের সঙ্গে গরুর দাম মিলে না। ঈদে দাম বড় নয়, সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কেনাই বড় কথা।

ঈদ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট গড়ে উঠেছে। এ সকল মৌসুমী হাটগুলোতে বিক্রিও বেড়েছে। বিক্রেতারা পশুর দাম ভাল পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। নগরীর উপকণ্ঠে মৌগাছি বাজারে মোজাম শেখ নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি  ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনেছেন।

নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের মোবারক আলী জানান, ওই হাটে খাসির দামও গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে জানা গেছে ওইদিন রাজশাহী-নওগাঁ জেলার বড় পশুহাট চৌবাড়িয়ায় ভারত থেকে গরু আসার গুজবে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। জেলার বিভিন্ন হাটে ব্যাপক গরু-ছাগল-মহিষ উঠলেও বেচা বিক্রি তেমন হচ্ছে না।

নগরীর সিটি বাইপাস হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, গত বছর এ সময় হাটে বেচাকেনা ছিলো অনেক বেশি। কিন্তু এ বছর তার তুলনায় বেচা কেনা খুব কমই হচ্ছে। এর মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এবার হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর আধিক্য অনেকটাই কম। ফলে দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির দেশি গরুর বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে বেশি দাম চাওয়ায় ক্রেতারা হাটে গরু দেখে ফিরছেন খালি হাতে। তবে সামনের দিনগুলিতে ভালো ব্যবসা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

তবে দিন যতো যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠছে। সে কারণে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হাটে সাধারণ ক্রেতা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা নামবে। তখন গরুর দাম উঠতি হতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

শাহরিয়ার অনতু/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।