থানায় ধর্ষকের সঙ্গে গৃহবধূর বিয়ে : ওসি এসআই প্রত্যাহার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ওসি ওবাইদুল হক

পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং থানায় ধর্ষকদের একজনের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক ও উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে মোট পাঁচ আসামির চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ঘটনা তদন্ত করে তাদের শোকজ করা হয়েছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার হোসেন আলী ও সঞ্জুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি রাসেল আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে এ মামলার প্রধান আসামি রাসেল আহমেদ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে একই গ্রামের এক গৃহবধূকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যান। টানা চারদিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা। পরে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেডিকেল পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামতও মেলে। পরে ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। মামলা নথিভুক্ত না করে স্থানীয় একটি চক্রের মধ্যস্থতায় পূর্বের স্বামীকে তালাক ও অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসা করে দেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে ওসি ওবায়দুল হককে কারণ দর্শাতে বলা হয়। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে থানায় মামলা নেয়া হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ।

আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।