অবশেষে সেই সাব-রেজিস্ট্রার বরখাস্ত
ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেওয়ার ভিডিওচিত্র ভাইরালসহ নানা অভিযোগে অবশেষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সেই উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার তিন সহযোগীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. মঞ্জুরুল। সাসপেন্ড হওয়া কর্মচারীরা হলেন- সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসের ঘুষ বাণিজ্যের সহযোগী ওই অফিসের মহরার আব্দুস সালাম, নকলনবিশ সুমন আহম্মেদ ও দৈনিক মজুরি চুক্তিতে অফিস সহায়ক আনিছুর রহমান।
এর আগে, ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেওয়ার ভিডিওচিত্র ভাইরাল, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে এসবের সংবাদ দেখে জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।
গত আট কর্মদিবসের তদন্তে জমিদাতা ও দলিল গ্রহীতাদের সমস্যায় ফেলে অবাধে ঘুষ-বাণিজ্য, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতে সহায়তা, জমির প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি, অসাধু দলিল লেখকের সঙ্গে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা, ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়া দলিল সম্পাদন বন্ধ রেখে সরকারি অফিসে সংবাদ সম্মেলন ও সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে রোববার ঢাকার রাজধানীতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (আইজিআর) কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন জেলা রেজিস্ট্রার।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আইজিআর খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান শাহজাদপুরের আলোচিত সেই উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তার তিন সহযোগীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং পৃথক সুপারিশসহ সোমবার এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সুপারিশে সুব্রত কুমার দাসকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন আইজিআর। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ও আইজিআরের নির্দেশে শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তিন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইজিআর খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসের পার পাওয়ার সুযোগ নেই। শিগগিরই তিনি শাস্তি পাবেন।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমআরএম