বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ডাক্তার নেই, এক্স-রে মেশিনও নষ্ট
ধুঁকে ধুঁকে চলছে ঠাকুরগাঁও বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। ডাক্তার না থাকায় সদর হাসপাতালের একজন ডাক্তার এখানে দায়িত্বে রয়েছেন। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। রোগী শনাক্ত করার জন্য এক্স-রে মেশিন অপরিহার্য। সেই এক্স-রে মেশিনটিও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে অনেকদিন।
এই ক্লিনিকের দায়িত্বে রয়েছেন ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ। তিনি জানান, বর্তমানে রোগীদের অনেক দূরে সরকারপাড়ায় অবস্থিত ব্র্যাক অফিসে গিয়ে বুকের এক্স-রে করে আনতে হয়। তবে বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটিতে জিন এক্সপার্ট মেশিন রয়েছে। ক্লিনিকে কফ ও এমটি (টিবি) পরীক্ষা করা হয়। প্যাথলোজিক্যাল কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই এখানে।
ক্লিনিকের নথি অনুযায়ী, এই জেলায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ১ জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসে এখানে চার হাজার ৭৫৭ জন নতুন রোগী তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৬ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন রোগী আসছে এখানে। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক না থাকায় সদর হাসপাতালের ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথকে বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ জানান, এখানে আর কোনো ডাক্তার নেই। এখানে মেডিকেল অফিসার ও কনসালটেন্টের দুটি পদ রয়েছে। এখানে কোনো নৈশ প্রহরী নেই। রাতে অরক্ষিত থাকে এই ক্লিনিক। সব গ্রামে ছড়িয়ে আছে যক্ষ্মা রোগী। শত শত যক্ষ্মা রোগী রয়েছে চিকিৎসা সেবার বাইরে। কিন্তু নেই কোনো মাঠ পর্যায়ের লোক। সহকারী নার্স ও ফার্মাসিস্ট পদ আছে কিন্তু লোক নেই।
তিনি আরও জানান, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি ১৯৬৩-৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিকে ৩১ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালে রুপান্তর করার জন্য ২০০৭ সালে একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আজও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি।
ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ জানান, এই ক্লিনিকের মোট জমির পরিমাণ ৩.৩৯ একর। কিন্তু ২৯ শতক জমি বেদখল হয়ে গেছে।
আরএআর/এমকেএইচ