সাতক্ষীরায় ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু, আটক ৩


প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সাতক্ষীরায় ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল কুড়ি বছর বয়সী গৃহবধূ সুমনা খাতুনের। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পলাশপোলস্থ একতা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমনা খাতুন সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোল্লার মেয়ে।

এ সময় ডা. দেবদুলাল ও ডা. সুদীপ্ত শেখর দেবনাথ, ক্লিনিক মালিক হরিপদ ও ভৈরব চন্দ্র সরকার পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।

এদিকে, হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনার পর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আশাশুনির কোদন্ডা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (২৭), তারাপদ মন্ডলের ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল (৩১) ও আয়া শিরিনা খাতুনকে আটক করে। পুলিশ হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে।

Hospital

নিহত সুমনা খাতুনের ভাই মো. হোসাইন আলী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর অসুস্থ বোনকে শহরের একতা হাসপাতালে নেয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মোটা অংকের টাকায় সিজারের অপারেশনের চুক্তিবদ্ধ হয়। রাতে অপারেশন করেন ডা. দেবদুলাল। অজ্ঞান করান ডা. সুদীপ্ত শেখর দেবনাথ।

তিনি আরো জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে অপারেশন টেবিলেই তার বোনের মৃত্যু হয়। এ সময় একটি পুত্র সন্তান ভুমিষ্ট হয়। টেবিলে সুমনার মৃত্যু হলে তড়িঘড়ি করে দ্রুত খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এ সময় একতা হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তাররা হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তারপরও আমরা মৃত. সুমনাকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার পথে বিনেরপোতা এলাকায় গিয়ে মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ফিরে আসি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক শেখ জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে আটকের পর ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।