তিন মাস ধরে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, শেবামেকের বাবুর্চি গ্রেফতার
প্রতিবেশীর ৮ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়ন করে আসছিল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের বাবুর্চি মো. হানিফ ওরফে নয়ন (৪৫)। বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেন তিনি। অবশেষে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
গ্রেফতার মো. হানিফ (৪৫) বরিশাল নগরীর চরেরবাড়ি এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে। বাবুর্চি মো. হানিফও একই কোয়ার্টারের বাসিন্দা। শিশুটির বাবা-মা প্রতিদিন সকালে কাজে যান। এ সুযোগে বাবুর্চি মো. হানিফ তিন মাস ধরে বিভিন্ন সময় চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে যৌন নিপীড়ন করে আসছিল। এর মধ্যে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টাও করে। প্রতিবারই যৌন নিপীড়নের পর কাউকে কিছু না বলতে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখানো হতো।
তিনি জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারের সামনের মাঠে খেলার সময় চকলেট ও মজাদার খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে পুনরায় বাসায় ডেকে নেয় হানিফ। এ সময় অন্য প্রতিবেশীরা তা দেখে ফেলেন। বাসায় নিয়ে হানিফ শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে। তবে সে সময় বাবুর্চি হানিফ বাসা থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শিশুর এক অভিভাবক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই শেবামেক সংলগ্ন একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন ওই বাবুর্চি। শুক্রবার রাতে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
সাইফ আমীন/এমবিআর/এমকেএইচ