আজমেরী ওসমানের কার্যালয় ও বাসায় পুলিশি অভিযান
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের একমাত্র ছেলে আজমেরী ওসমানের কার্যালয় ও বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে আল্লামা ইকবাল সড়কের (কলেজ রোড হিসেবে পরিচিত) দেওয়ান মঞ্জিলের নিচতলায় আজমেরীর কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযান চলে রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত। এরপর তার দুটি বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন (৩২) এবং মোখলেছুর রহমান (৩৫)।
আজমেরী ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ভাতিজা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযানের শুরুতে ডিবি পুলিশের আটটি গাড়ি আল্লামা ইকবাল সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় সাধারণ যাত্রীদের রিকশা থেকে নামিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মালবাহী ট্রাকও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান ও ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে আরও দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ প্রথমে দেওয়ান মঞ্জিলের নিচতলায় আজমেরী ওসমানের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তার সহযোগী শাহাদৎ হোসেন ও মোখলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় অভিযান চালারো হয়। এ সময় পুলিশের অন্য একটি টিম কাদের ভবন নামে পাশের একটি ভবনেও অভিযান চালায়। পরে আজমেরী ওসমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান তারা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আসাদুজ্জামান বলেন, গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় শহরের আমলাপাড়া এলাকায় বাচ্চু ঠিকাদার নামে একজনের কাছে আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আজমেরী ওসমানের লোকজন সেই ব্যবসায়ীর অফিস ভাঙচুর ও বাচ্চু ঠিকাদারকে মারধর করে। রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাচ্চু ঠিকাদার। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজমেরী ওসমানের কার্যালয় ও বাসায় অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে আজমেরী ওসমানের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরএআর/এমকেএইচ