জ্বরের কারণে মাদরাসায় না আসায় ছাত্রকে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক আটক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লক্ষ্মীপুরে জ্বরের কারণে কয়েকদিন মাদরাসায় না আসায় এজাজ রায়হান (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছে মাদরাসা শিক্ষক ছায়েদুর রহমান। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার তানজিমুল মিল্লাত একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রায়হানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনায় রায়হানের ফুফা ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল হক মাহবুব সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে বিকেলেই পুলিশ পাঠিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।

অন্যদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রায়হান সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী আরিফ হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ছায়েদ একই মাদরাসার শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচদিন জ্বরে আক্রান্ত ছিল রায়হান। সুস্থ হলে বুধবার সে মাদরাসায় আসে। মাদরাসায় না আসার কারণ জানতে চাইলে রায়হান শিক্ষককে জ্বরের কথা জানায়। কিন্তু শিক্ষক তা কর্ণপাত করেননি। শাস্তি হিসেবে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার হাত-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মাদরাসায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল হক মাহবুব বলেন, রায়হানকে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করিয়েছেন। পরে ওই শিক্ষককে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল আহত ছাত্রের অভিভাবকদের জানিয়েছেন, শিক্ষককে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ওই মাদরাসায় পাঠদানের কোনো অনুমতি নেই। তা সত্ত্বেও তারা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ জন্য মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কাজল কায়েস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।