ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক : দূরত্ব কম ভাড়া বেশি
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর-জৈনাবাজার অংশে পরিবহন ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। এ মহাসড়কের বাসে উঠলেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বাগবিতণ্ডা হলেও সমস্যা সমাধানে কেউই এগিয়ে আসছে না।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীরা জানান, এই মহাসড়কের গাজীপুর ৩৫ কিলোমিটার অংশে (গাজীপুরের চান্দনা-জৈনাবাজার) স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের চলাচলের মাধ্যম ছিল লেগুনা। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছর দেশের মহাসড়কগুলো থেকে সরকার লেগুনা উঠিয়ে নেয়। এরপর থেকেই স্বল্প দূরত্বের এ পথের যাত্রীদের শুরু হয় ভোগান্তি। যদিও অল্পদিনের মধ্যেই এই মহাসড়কে যাত্রী পরিবহনের জন্য অর্ধশত মিনিবাস নিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে তাকওয়া পরিবহন নামের একটি প্রতিষ্ঠান, এছাড়াও বিভিন্ন নামে চলাচল শুরু করে বেশকিছু মিনিবাস। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলেও নতুন ভোগান্তি শুরু হয় ভাড়া নিয়ে।
এসব মিনিবাস যাত্রীদের কাছ থেকে সরকারিভাবে নির্ধারিত ৫ টাকা ভাড়ার বদলে আদায় করছে ১০ টাকা। অতিরিক্ত এ ভাড়া নিয়ে একদিকে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের কথা কাটাকাটি হয় পরিবহনের লোকজনের, অন্যদিকে বিভিন্ন শিল্প-কারখানার স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মহাসড়কের এমসি বাজার থেকে মাওনা চৌরাস্তার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। এই গন্তব্যে প্রতিদিন যাতায়াত করেন কারখানার শ্রমিক আনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, এই এক কিলোমিটার যাতায়াত করার জন্য তাকে গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। অথচ ১০ কিলোমিটার দূরে ১৫ টাকা ভাড়ায় জৈনাবাজার যাওয়া যায়।
অপর একজন কারখানা শ্রমিক জাহেদা আক্তার জানান, এই মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িতে অল্প দূরত্বের যাত্রীদের ওঠানো হয় না। তারা বাধ্য হয়েই এসব মিনিবাসে চলাচল করেন। তবে এসব মিনিবাসে উঠে নেমে পড়লেও ১০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হয়।
এ বিষয়ে তাকওয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল জানান, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই। আর তাদের কাছে কেউ কখনও অভিযোগও করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ভাড়ার বিষয়ে গাজীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন মন্টু জানান, সরকার কর্তৃক মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত করা রয়েছে ৫ টাকা। কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকেন তবে তা অবৈধ। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিহাব খান/এফএ/পিআর