‘মুক্তি কক্সবাজার’ থেকে এবার সরে দাঁড়ালেন সম্পাদক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯

এনজিও সংস্থা ‘মুক্তি কক্সবাজার’ নিয়ে বার বার বিতর্ক ওঠায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ।

এর আগে ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বসহ অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠায় চলতি মাসের মাঝামাঝি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিবুলাল দেবদাস।

এরই মধ্যে কয়েক দিন যেতে না যেতেই একই কমিটির সাধারণ সম্পাদকও সভাপতির পথ অনুসরণ করে শুক্রবার পদত্যাগ করেন। শনিবার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়। এটি প্রকাশ পাওয়ার পর জেলাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছে।

পদত্যাদের বিষয়ে অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছরের কষ্টার্জিত ইমেজ অক্ষুণ্ন রাখতে বেসরকারি এনজিও ‘মুক্তি কক্সবাজার’র সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

তিনি বলেন, স্কুলজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।

রনজিত দাশ বলেন, স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কক্সবাজারের উন্নয়নে অবদান রাখতে ‘মুক্তি কক্সবাজার’র পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু সংস্থাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু মানুষ ও সংস্থার কিছু কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক ওঠায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত থাকা ঠিক হবে না বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।

তবে ‘মুক্তি কক্সবাজার’র প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, শুক্রবার মুক্তির সাধারণ পর্ষদের বৈঠক হয়েছে। সকালে বৈঠক শুরুর পরপরই বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দিনব্যাপী চলা বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। রাতেই নতুন একটি পরিচালনা কমিটি দাঁড় করানো হয়।

এর আগে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হাতিয়ার (নিড়ানি সদৃশ) তৈরির ঘটনায় এনজিও সংস্থা ‘মুক্তি কক্সবাজার’র ছয়টি প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

সম্প্রতি কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সমাবেশে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখার পর আলোচনার মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিয়েছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো।

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম বৃহস্পতিবার বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য মুক্তির ছয়টি প্রকল্প সাময়িক স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।