৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে ধর্ষণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুয়াকাটা
প্রকাশিত: ০৬:৫৯ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৯
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বুধবার গভীর রাতে বালুর মাঠে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নজিরপুর গ্রামের ওই শিক্ষার্থীর বাবা বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুলসহ (২০) তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে শিক্ষার্থীকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষকসহ অপর আসামিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুল ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার দাদির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কথা বলতো। গত বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে তার দাদির ফোনে কল দিয়ে ঘর থেকে বাইরে আসতে বলে রাকিবুল। পরে তাকে বালুরঘাট নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে রাকিবুল তাকে ধর্ষণ করে। এসময় বাবু (২২) ও ওবায়দুল (২৪) তাকে সহযোগিতা করে। ধর্ষণের পর ওই রাতে ওবায়দুল মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে অটো রিকশা্য় তুলে দেয়া হয়। এসময় ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দেয় ওবায়দুল।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বুধবার রাত থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে তার দাদিসহ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে রাকিবুল তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ওই দিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি ও রানীর সহযোগিতায় মহিপুর থানায় মামলা করেছি।

মহিপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষকসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।