এক রাতে চার বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
বুধবার রাত থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা ইউনিয়নের কচা নদী তীরবর্তী নদমুলা গ্রামের চারটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে আছে আরও ৮ থেকে ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি, কবরস্থান ও বাগানের জমি।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলীন হওয়া ঘরের চালা ভাসছে নদীর পানিতে। আহাজারি করছেনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় আলাপকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাকায়েত ছেপাই জানান, এ এলাকায় বুধবার গভীর রাত থেকে ভাঙন শুরু হয়ে এখনো অব্যাহত রয়েছে। রাতেই নদমুলা গ্রামের বাসিন্দা মো. নাসির হাওলাদার, আমির হোসেন হাওলাদার, জামাল হাওলাদার ও তানভীর হাওলাদারের বসতঘর, গাছপালা, কৃষিক্ষেতসহ প্রায় দেড় একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, অব্যাহত এ ভাঙনের ফলে ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরও ৮ থেকে ১০টি পরিবার। এসব পরিবারের মধ্যে বেলায়েত সরদার, ছাকায়েত সরদার, গনি সরদার, আবুল খায়ের, শহিদুল ইসলামের বাড়ি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নদমুলা খালের মুখ থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে পোনা নদীর মোহনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এবং দক্ষিণে ধাওয়া খাল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ এলাকার বেড়িবাঁধ রক্ষায় অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে সব হারিয়ে তাদেরকে পথে বসতে হবে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্যের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ এলাকার ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. সাঈদ আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সার্ভে রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলছে।
আরএআর/এমকেএইচ