ভিক্ষার টাকা নিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েকে মেরে ফেললেন সৎবাবা
যশোরে সৎবাবার ছুরিকাঘাতে সুমী আক্তার (২৫) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের আগরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সৎবাবা নাজমুল হোসেন পালিয়ে গেছেন।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমী ও তার মা রেশমা খাতুনকে ফেলে বাবা চলে যান। পরে সুমীর মা নাজমুল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। নাজমুলের সংসারে পাঁচ সন্তান রয়েছে। নাজমুল ঢাকায় রিকশা চালান। সুমী ও তার মা ঢাকায় ঠেলাগাড়ি চালিয়ে ভিক্ষা করেন। তাদের ভিক্ষার জমানো টাকা থেকে আরেক মেয়ে সাথীর বিয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা ধার নেন নাজমুল। ঈদের পর সুমীকে ওই টাকা ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের পরও টাকা ফেরত দেননি নাজমুল।
বুধবার গ্রামের বাড়ি নাজমুলের কাছে সুমী পাওনা টাকার জন্য চাপ দেন। এই নিয়ে দুপুরে নাজমুলের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে সুমী আগরাইল গ্রামে তার নানা বাড়ি ছিল। রাতেই ওই বাড়িতে ঢুকে সুমীর পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান নাজমুল। গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে সুমীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এম আব্দুর রশিদ জানান, ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে সুমীর মৃত্যু হয়েছে।
আরএআর/পিআর