সিলেটে টিলা কাটার দায়ে অজিতকে ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা
সিলেট নগরের ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় টিলা কাটার দায়ে অজিত তালুকদার নামের এক ব্যক্তিকে ৩৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মহানগরের জালালাবাদ থানার ব্রাহ্মণশাসন মৌজায় অবৈধভাবে টিলা কাটার অপরাধে তাকে এ জরিমানা করা হয়।
এর আগে ওই টিলাকাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় দুই দফা অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও টিলা না কাটা সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে। এরপরও টিলা কাটা বন্ধ না করায় ঢাকার মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট দপ্তর সোমবার এ জরিমানা করে। একই সঙ্গে সংস্থাটি ৫টি ইটভাটা, ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট দপ্তর। এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ দূষণের দায়ে ময়মনসিংহের ৫টি ইটভাটাসহ ঢাকা, সিলেট, বাগেরহাট এবং গাজীপুরের ১০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক।
এর মধ্যে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানা এলাকার ব্রাহ্মণশাসন মৌজায় অবৈধভাবে টিলা কাটার অপরাধে অজিত তালুকদারকে ৩৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর দায়ে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মেসার্স আয়েশা ব্রিকস, মেসার্স শাফায়েত ব্রিকস, মেসার্স তানিয়া ব্রিকস, মেসার্স শাপলা ব্রিকস ও মেসার্স এনজিএম ব্রিকসকে মোট ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ না করে এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে কারখানা পরিচালনা করার অপরাধে গাজীপুরের টঙ্গীর আদি কর্পোরেশনকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ টাকা, গ্রিন টার্চকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। উপযুক্ত মানসম্পন্ন না হওয়ায় একটি সিমেন্ট কারখানা ও একটি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৯৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ইশরাত জাহান বলেন, ক্ষতিপূরণের অর্থ যদি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা না হয়, তখন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়। এ বিষয়ে হয়তো মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়কে জানানো হবে। ঢাকার আদেশ আসলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
ছামির মাহমুদ/এমআরএম