ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ঈশ্বরদীতে
ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালও ক্লিনিকে মোট ৫০ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত।
এদিকে ঈশ্বরদীতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসার সুব্যবস্থা না থাকায় ডেঙ্গু শনাক্তের পরপরই রোগীরা ঢাকা বা রাজশাহী চলে যাচ্ছেন।
পৌর কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কিছু এলাকায় মশার ওষুধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন। নাগরিক সচেতনতামূলক কোনো কর্মসূচি তারা এখনও নেয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও মশা নিধনের কোনো উদ্যোগ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, ‘এখানে শনাক্ত হওয়া ৩২ জন ছাড়াও অন্য হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় মোট ৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।’
সর্বশেষ গত সপ্তাহে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবির দুই সদস্য স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তাদের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপরজনকে চিকিৎসার জন্য বিজিবির ব্যবস্থাপনায় রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আক্রান্ত ওই দুই বিজিবি সদস্য হলেন- নায়েক সঞ্জয় কুমার (৩৭) ও সিপাহী দেলোয়ার হোসেন (২৬)। এরমধ্যে গত সোমবার সঞ্জয় কুমারকে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস ওই দুইজনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিজিবির তত্ত্বাবধায়নে দ্রুত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা আক্রান্ত হওয়ার পরপরই রূপপুর প্রকল্পের গ্রিনসিটি আবাসিক প্রকল্প এলাকায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ ছিটানো হয়।’
রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্প এলাকায় এডিস মশার অস্তিত্বের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার ওই এলাকাকে এডিস মশামুক্ত রাখার জন্য পাবনা গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। গ্রিনসিটিতে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি নাগরিকেরা থাকেন। ফলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
এদিকে রূপপুর প্রকল্পের গ্রিনসিটি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ঈশ্বরদীতে এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ঈশ্বরদীতে ৫০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ জনের কেউ এক মাসের মধ্যে ঢাকায় যায়নি। স্থানীয় এডিস মশার কামড়ে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এমএমজেড/পিআর