কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় কোমলপানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিয়াজুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের কামলাবাজ গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি পাশের শেরমস্তপুর গ্রামে যাওয়ার জন্য একটি রিকশায় ওঠে। একই সময় গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে রিকশাচালক রিয়াজুল ইসলাম (১৮) ওই গ্রামে যাবে বলে জানায়। পরে রিয়াজুল এবং মেয়েটি একই রিকশায় উঠে রওনা দেয়। পথিমধ্যে রিয়াজুল ও রিকশাচালক রাসেল মিয়া তাকে কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেয়েটির মা জানান, তার মেয়েকে রিয়াজুল ও রিকশাচালক রাসেল কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর তাকে সাচনাবাজারের একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে তার রক্তক্ষরণ হলে শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় রিয়াজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মোসাইদ রাহাত/এমএসএইচ