ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল মেয়েটি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ০১:০৩ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯
প্রতীকী ছবি

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে খাগড়াছড়িতে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে শামসুন্নাহার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সে দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, জন্মনিবন্ধন সনদ জাল করে বয়স বাড়িয়ে এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বড় মেরুং এলাকার মসজিদ টিলা গ্রামে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উল্যাহ। এ সময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি।

এ সময় জন্মনিবন্ধন জাল করে বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়েটির বাবা মো. নুরন্নবীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, জাল জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী মেয়েটির বাবা মো. নুরুন্নবীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরিতে সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এমএমজেড 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।