যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯

নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাহবুব হায়দার মিন্টুকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বঙ্গজল এলাকার ট্রমা সেন্টারের সামনে নিজ বাড়ি থেকে বের হলে তুলে নিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় মিন্টুর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়।

আহত যুবলীগ নেতা মিন্টু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং বগুড়ার ইউনিক কন্সালটেশন ফার্মের ব্যবস্থাপক।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিন্টু জানান, তিনি বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে নাটোরে বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হলে সুমন ও বাবুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে ট্রমা সেন্টারের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে সুমন নামের এক যুবক মারপিটের স্বীকার হয়। সন্ত্রাসীরা তার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল ও চেক বই নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাবু ও সুমন দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল।

তবে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবু ও যুবলীগ কর্মী সুমন জানান, মিন্টুর নেতৃত্বে ইতিপূর্বে সাব্বির বাহিনী সুমনের হাতের রগ কেটে দেয় এবং বাবুর দুই পা ভেঙে দেয়। তারপরও তাকে (মিন্টুকে) কিছু বলেননি। এ ঘটনায় তারা জড়িত নন। এটা ষড়যন্ত্র।

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।