বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফরিদপুরের দুই উপজেলায় বজ্রপাতে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সালথা উপজেলার কাগদি স্বজনকান্দা গ্রামের ইদ্রিস মোল্যার স্ত্রী হাসি বেগম (৪৫), বাতা গ্রামের ইসমাইল মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা (৪৭) এবং নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের পাচু বেপারীর ছেলে ইমরান বেপারী (২২)।
প্রায় একই সময়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পৃথক দুই স্থানে বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতমারা চর এলাকার আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী ফেলানী খাতুন (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের চর বাটিয়া গ্রামের তহসিন আলীর ছেলের সুমন মিয়া (৩২)।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় বজ্রপাতে মতিউর রহমান ফরাজী (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের মৃত ধলু ফরাজীর ছেলে।
এছাড়া দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মঙ্গল চন্দ্র সরকার (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মঙ্গল চন্দ্র সরকার উপজেলার মৌহালী এলাকার মৃত লালু চন্দ্র সরকারের ছেলে।
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে মাগুরায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার সময় বজ্রপাতে ওয়ালিদ বিশ্বাস (৩৪) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার নলদাহ গ্রামের অরুণ বিশ্বাসের ছেলে।
বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বজ্রপাতে ধুইতা সেখ (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
অন্যদিকে সন্ধ্যায় জামালপুরের মাদারগঞ্জে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের খিলকাঠি গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে সারোয়ার হোসেন (১৫) এবং একই ইউনিয়নের চরগোলাবাড়ী নামাপাড়া গ্রামের গণি মিয়ার ছেলে রাসেল (২২)।
এমবিআর/এমকেএইচ