আদেশের ৬৭ ঘণ্টা পর আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা


প্রকাশিত: ০২:৫৮ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আদালতের আদেশের ৬৭ ঘণ্টা পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বুধবার ওসমানী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

আদেশ ৪৮ ঘণ্টা পর কারাগারে পৌছলেও তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৬৭ ঘণ্টা পর।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ।

এদিকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল বোর্ড আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর বেলা সোয়া একটায় আরিফকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওসমানি হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন ও অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও বিভিন্ন ডায়াগনেস্টিক পরীক্ষা করা হয়।

গত রোববার আলোচিত কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জগঠনের দিনে মামলায় অভিযুক্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আইনজীবীরা তার পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেষ্ঠ্য জেল সুপার মো. ছগির মিয়া জাগো নিউজকে জানান, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পরপরই বুধবার আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা সেখানে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বেলা সোয়া একটার দিকে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই আমরা আদালতকে জানাবো।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ ৫ জন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনায় তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

তিন দফায় আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র এএসপি মেহেরুননেছা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরজ্জামান বাবরসহ নতুন করে আরো ১১ জনকে যুক্ত করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের হাকিম আদালতে চার্জশিট দেন।

গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ থেকে আদালত থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলার চার্জগঠনের তারিখ নয়বার পেছানোর পর অবশেষে গত রোববার অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

ছামির মাহমুদ/ এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।