স্বামীকে আটকে রেখে উপজাতি নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

চাঁদার টাকা না পেয়ে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় এক উপজাতি (মারমা) নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার মঈন উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল শনিবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে আশুলিয়ায় থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ মামলায় রোববার সকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকা থেকে রনি (২১) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পাবনার আটঘরিয়া থানার পাইকপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে।

অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার স্থায়ী নিবাসী খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে জয় (২২) এবং ফরিদপুর জেলার শামীম (২৬)। আসামি রনি এবং শামীম ডেন্ডাবর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অবৈধভাবে মদ তৈরির অভিযোগ তুলে উপজাতি দম্পতির ঘরে ঢোকেন তিন যুবক। তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। এ সময় তারা বাসায় ভাঙচুর চালান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে স্বামীকে পাশের ঘরে আটকে রেখে ওই নারীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনসহ নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যান ওই তিন যুবক।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, উপজাতি নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে রনি নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আল-মামুন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।