ছাত্রীকে ধর্ষণ করল মাদরাসা অধ্যক্ষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে এসএম কামাল হোসাইন নামে এক মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সদর উপজেলার তের আনা শাহ মাহমুদিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে খবর পেয়ে পুলিশ কামাল হোসেইনের মেজভাইয়ের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ কামাল হোসাইন পলাতক রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই ছাত্রী লেখাপড়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষের বাসায় ৫ বছর যাবত গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। গত ১৫ আগস্ট দুপুরে ওই ছাত্রীকে কামাল হোসাইন নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সে আত্মগোপন করে এবং পরবর্তীতে মেজভাই জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ওই ছাত্রীকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী আরও জানায়, ওই দরিদ্র মেয়েটিকে বাসায় কাজে রাখার সুবাধে কামাল হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন করত। ১৫ আগস্ট দুপুরে তার স্ত্রী এ ঘটনা দেখে ফেললে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, মেয়েটি গত ৫ বছর যাবৎ মাদরাসা অধ্যক্ষ কামাল হোসাইনের বাসায় থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ ও লেখাপড়া করতো। এ সুযোগে সে ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ কামাল হোসেইনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে কয়েক বছর আগেও কামাল হোসেইনের বিরুদ্ধে আলিমের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে তখন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয় সে।

এদিকে অধ্যক্ষ কামাল হোসেইন প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

মো. আতিকুর রহমান/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।