কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধর্ষণ করলেন কনস্টেবল
রংপুর জেলায় কর্মরত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই পুলিশ সদস্য ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে গত বুধবার গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং বিকেলে কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মো. শাহরিয়ার।
আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা জায় , কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ওই কলেজছাত্রীর প্রতিবেশী। সিদ্দিক ওই কলেজছাত্রী সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে মাঝে মাঝেই মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। এরই মাঝে সিদ্দিক ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি এসে কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ১১ আগস্ট প্রতিবেশী কফিল উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
একইভাবে ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই কলেজছাত্রীকে ডেকে এনে তার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে সিদ্দিক। উভয় ঘটনায় আমিনুল ইসলাম সহযোগিতা করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই কলেজছাত্রী লোক লজ্জায় বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই কলেজছাত্রী মা অভিযোগ করে বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক পুলিশ সদস্য হওয়ায় সে ও তার লোকজন মামলা না করতে নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৪ আগস্ট থানায় অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ধর্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করে মামলা রেকর্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার ব্যাপারে আমি অটল থাকায় গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ওসি শাহরিয়ার সকল বাধা উপেক্ষা করে ১৫ আগস্ট অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি (ধর্ষিতার মা) বলেন, মামলা হওয়ার পর পরেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষক পরিবার মিথ্যা মামলা দেবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অপর আসামি আমিনুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জাহিদ খন্দকার/এমএএস/এমকেএইচ