২৪ ঘণ্টা পরও ধরা যায়নি কোরবানির সেই মহিষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় কোরবানির সময় হঠাৎ লাফিয়ে উঠে শিংয়ের গুঁতোয় ১১ জনকে আহত করা মহিষটি এখনও ধরা যায়নি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভূঞাপুরের বিল নিকলা গ্রামের চর অলোয়াতে অবস্থান করছে মহিষটি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভূঞাপুরের বিল নিকলা গ্রামের চর অলোয়াতে অবস্থান করা মহিষটি দেখতে ভিড় করে আছে উৎসুক মানুষ। মহিষটি স্বাভাবিকভাবে বিলের ঘাস এবং অন্যান্য খাবার খাচ্ছে। তবে কেউ আশপাশে গেলে মহিষটি দূরে সরে যায়। সেই সঙ্গে কেউ কাছে আসছে টের পেলে দ্রুত হাঁটতে শুরু করে মহিষটি।

এর আগে ঈদের দিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার যুগিহাটি গ্রামে আরিফুল সরকারের বাড়িতে কোরবানি দেয়ার সময় হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে মহিষটি। এ সময় মহিষটির গুঁতোয় ১১ জন আহত হন।

ঈদ উপলক্ষে যুগিহাটি গ্রামের আরিফুল ইসলামের একটি মহিষ কয়েকজন মিলে কোরবানি দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মহিষটি মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে। পরে সেখানে থাকা একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১১ জনকে আহত করে মহিষটি। এরপর ভূঞাপুর উপজেলার কাগমারি পাড়ায় চলে যায় মহিষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর ভূঞাপুর থানা পুলিশ ওই মহিষকে থামাতে গুলি ছোড়ে। তবে সেটি মহিষের গায়ে লাগেনি।

পুলিশ বলছে, উৎসুক জনতা ভিড় করায় মহিষটিকে এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভূঞাপুর উপজেলার বিল নিকলা গ্রামে অবস্থান করছে মহিষটি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দের নির্দেশে ক্ষিপ্ত ওই মহিষকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ততক্ষণে মহিষটি দেখতে আশপাশের হাজারও উৎসুক মানুষ চলে আসে। বারবার উৎসুক জনতাকে সরতে মাইকে ঘোষণা দেয়া হলেও কেউ সরেনি। ফলে মহিষটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে মহিষটি একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে এখনো।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ভূঞাপুরের বিল নিকলা গ্রামের চর অলোয়াতে অবস্থান করছে মহিষটি। ২৪ ঘণ্টা পরও মহিষটি এখনো ধরা যায়নি।

এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।