ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় ররেছেন। এবার ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। এদিকে ঈদের জামাত ঘিরে নেয়া হয় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, ডিজি এলজি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদেরসহ বিশিষ্ট জনেরা এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লি এ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। এর আগেই দলে দলে লোকজন আসতে থাকেন ঈদগাহের দিকে। এ মাঠের রীতি অনুযায়ী পর পর কয়েকবার বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে জামাতের চূড়ান্ত প্রস্তুতি জানান দেয়া হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহে বড় জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে প্রতি বছর ঈদের সময় এখানে ঢল নামে লাখো মুসুল্লির। অনেকে এ মাঠে নামাজ পড়ছেন বংশ পরম্পরায়।
এ দিকে ঈদের জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। মাঠের নিরাপত্তায় এক হাজারেরও বেশি র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ছিল ২ প্লাটুন বিজিবি। নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং করা হয়। কয়েক দফা তল্লাশির পর মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় ঈদগাহে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকা নজরদারি করে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা।
দূরের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়া ঈদগাহে এক লাখ ২৫ হাজার বা সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়েন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত। তবে এবার কোরবারির আনুষ্ঠানিকতার জন্য মাঠে মুসল্লির সংখ্যা ছিল অনেক কম।
এমবিআর/জেআইএম