দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল, ভোগান্তি নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে।

রোববার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল দেখা যায়। এ সময় মোটরসাইকেল ও ব্যাক্তিগত ছোট গাড়ির চাপও লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ থাকলেও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ নেই দৌলতদিয়ায়। ঢাকামুখী যানাহনের কোনো সিরিয়ালও নেই এখানে। সরাসরি যাসবাহনগুলো ফেরিতে উঠতে পারেছে। এছাড়া ঘরমুখো যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন। তবে যানবাহনগুলোতে ভাড়া বেশি নেবার অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।

ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৯টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে।

doulotdia

ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, যত বাঁধাই আসুক না কেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যেতেই হবে। পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে তেমন ঝামেলা নাই, তবে ভাড়া বেশি নিচ্ছেন অনেক যানবাহন।

ফরিদপুর র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুল আরেফিন পরাগ বলেন, ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নদীর ওই পাড়ে না-কি যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে কোনো ভোগান্তি নাই। অবশ্য ঈদের পর দৌলতদিয়ায় যানজট হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সে প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পরাপার হচ্ছে। পর্যপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকার কারণে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহন চলমান রয়েছে। তবে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে।

রুবেলুর রহমান/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।