শেখ হাসিনার নামে ১০ বছর কোরবানি দিচ্ছেন এ মুক্তিযোদ্ধা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৯

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত ১০ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি দিচ্ছেন জাবেদ আলী নামে এক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার। বাড়ি ওই ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের এই সৈনিক শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জানান, ১৯৬২ সালে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মাধ্যমে তিনি মুজিব আদর্শে দীক্ষিত হন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অনেক লোভ-লালসার মধ্যেও তিনি মুজিব আদর্শ ত্যাগ করেননি। এজন্য এলাকায় তাকে অনেক নির্যাতনও সইতে হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ১/১১ এর পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মুক্ত হয়ে দেশের শাসনভার নিতে পারলে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় তার (শেখ হাসিনা) নামে পশু কোরবানি দেবেন। সেই থেকে গত ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। এবারও তিনি ৬৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। আগামী ১২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন প্রধানমন্ত্রীর নামে কোরবানি করবেন।

৭ সন্তানের জনক মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী এলাকায় একনিষ্ঠ মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসবে পরিচিত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেন, বয়স হয়ে গেছে, আগামী বছর কোরবানি পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন কি-না জানি না।

গোড়াই খামারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, একই গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম, মো. এমারত হোসেন, বাচ্ছু মিয়া, আল শাহরিয়ার মাসুদ ও আমছের মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী বিগত কয়েক বছর যাবত শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি করছেন।

মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, জাবেদ আলী একজন সত্যিকারের মুজিব সৈনিক। তিনি স্পষ্টবাদী ও সব সময় ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকেন।

এরশাদ/এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।