ট্রাকে তুলে বাবা-চাচাকে বেঁধে ছেলেকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

রাজশাহীতে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ট্রাকে উঠিয়ে বাবা ও চাচাকে বেঁধে রেখে জরিপ মৃধা (৩৬) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের কাছে থাকা আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর কাটাখালী থানার কুখণ্ডী বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জরিপ মৃধা নাটোরের সিংড়া উপজেলার আলাল মৃধার ছেলে। জরিপ তার বাবা আলাল মৃধা ও চাচা মোশাররফ হোসেন গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

রাজশাহীর কাটাখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, নাটোরের সিংড়া থেকে ওই তিনজন সিটি হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন। তাদের কাছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। তারা গরু ব্যবসায়ী। সিটি হাট থেকে গরু কিনে তারা নাটোরে নিয়ে বিক্রি করেন। কিন্তু দামে সুবিধা না হওয়ায় গতকাল হাট থেকে গরু না নিয়েই রাতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। কোনো যানবাহন না পেয়ে তারা একটি ট্রাকের উঠে পড়েন।

তিনি আরও জানান, ট্রাকটি সিটি বাইপাস থেকে শাহ মখদুম থানা এলাকায় পৌঁছালে আরও তিনজন ওই ট্রাকে ওঠেন। এ সময় ওই তিনজন জরিপের বাবা ও চাচাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। একপর্যায়ে জরিপের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার কাছে থাকা প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কুখণ্ডী বাইপাস এলাকায় গিয়ে ওই তিনজনকে ট্রাক থেকে ফেলে দেয়া হয়।

এ সময় কাটাখালী থানার একটি টহল টিম ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তারা ওই তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে কাছে যায় এবং সব ঘটনা জানতে পারে। পরে নিহত জরিপের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বর্তমানে জরিপের বাবা ও চাচা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র গভীর রাতে ট্রাক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা যাত্রী পারাপারের নামে লোক উঠিয়ে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে মারধর করে এবং টাকা ছিনতাই করে নামিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে ওই ট্রাকটি খুঁজছে পুলিশ।

আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।