আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী লিমন-অন্তর-রাহাত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৯

বিচার চেয়ে চিরকুট লিখে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্বর্ণা আক্তার (১৮) নামে এক মাদরাসাছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার আগে স্বর্ণার লিখে যাওয়া চিরকুটটি পুলিশের হাতে রয়েছে।

স্বর্ণা চিরকুটে লিখেছেন, ‘আমার নামে মিথ্যা অপবাদ এবং মিথ্যা ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানোর জন্য লিখলাম। আজ আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী লিমন, অন্তর, রাহাত এবং রিয়াদ। তাই আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। আমি তাদের বিচার চাই। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তারা।’

আত্মহত্যাকারী স্বর্ণা চরযমুনা গ্রামের নাসির উদ্দিন সিকদারের মেয়ে এবং উপজেলার খালগোড়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।

পরিবারের লোকজন জানায়, নিজ ঘরের মধ্যে পরিবারের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বর্ণা। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্বর্ণার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন বখাটে স্বর্ণার নামে আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। এসব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ অপবাদ সইতে না পেরে স্বর্ণা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

স্বর্ণার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খালগোড়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন শাহিন বলেন, তার একটি ভিডিওর কথা শুনতেছি, আমি দেখিনি সেটি।

স্বর্ণার বাবা নাসির উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘আপনারা যা পাইছেন, আমিও ওই পর্যন্ত জানি। এখন কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা তা জানি না। কীভাবে কি হইছে, আমি কিছু কইতে পারি না। বাড়ি গিয়ে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত নেব।’

রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বর্ণার লিখে যাওয়া একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।