ভেজাল দুধ তৈরির কারখানার সন্ধান, ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বারো আউলিয়া মিল্ক অ্যান্ড ফুড লিমিটেড নামক একটি ভেজাল দুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই কারখানার কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে আটক করে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কারখানাটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত র‌্যাব-১১ এর একটি টিম এ অভিযান চালায়।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা এলাকায় অবস্থিত বারো আউলিয়া মিল্ক অ্যান্ড ফুড লিমিটেড নামক একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ভেজাল দুধ তৈরি করা হয়। কারখানাটি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও পাউডার দিয়ে দুধ ও দই তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। খবর পেয়ে র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে কারখানাটি অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, গাভীর দুধ না দিয়ে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও পাউডার দিয়ে দুধ তৈরি করে প্যাকেট করে বাজারজাত করার উপযোগী করা হচ্ছে।

পরে কারখানার জিএম আমিনুল ইসলাম, ডিজিএম আব্দুল আজিজ, মালিকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ, কারখানার শ্রমিক জাফর আলী, নয়ন, আরিফুল ইসলাম, আবুল কালাম, হায়দার আলী, আতিক মিয়া, সিফাতকে আটক করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। এছাড়াও কারখানাটিকে সিলগালা করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

Narayanganj-2

র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বারো আউলিয়া মিল্ক অ্যান্ড ফুড লিমিটেড নামক ভেজাল কারখানাটিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও পাউডার দিয়ে দুধ-দই তৈরি করে বাজারজাত করা হতো। আজ অভিযান চালিয়ে ওই কারখানার কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে এদের মধ্যে ছয়জনকে দুই বছর করে ও চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ সময় ভেজাল দুধ তৈরির কারখানাটি সিলগালাসহ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর কারখানার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্কাস আলী ও এমডি আজগর আলীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি আরও জানান, কারখানার মধ্যে দুধ ও দই তৈরি করে বাজারজাত করলেও ৮ কেজি দুধ তৈরি করতে এক কেজি পরিমাণের দুধও দেয়া হয় না। শুধু জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও পাউডার দিয়ে দুধ তৈরি করা হয়।

শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।