মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে গণধর্ষণ, ৮ বছর পর রায় দিলেন বিচারক
ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে গণধর্ষণের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ আট বছর মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ জুলাই ভোলা সদর উপজেলার চর আনন্দ গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে (১৮) সিএনজিতে করে নানা বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় বেড়িবাঁধে একা পেয়ে তরুণীকে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত ঘরে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী ভুট্টো সর্দার (৩২), আবুল বাশার সর্দার (২৩) ও রফিক মাল (৩৫)।
সেখানে রাতভর তরুণীকে গণধর্ষণ করে তিনজন। পরেরদিন সকালে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন ওই তরুণী। একপর্যায়ে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে তরুণীকে বের করে দেয় ধর্ষকরা। এরপর সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় তারা। অবশেষে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন তরুণী। দীর্ঘ আট বছর পর ভুট্টো সর্দার, আবুল বাশার সর্দার ও রফিক মালকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এছাড়া গণধর্ষণ মামলার অপর আসামি বাদশা ও কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এএম/এমকেএইচ