স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন কলেজশিক্ষক
কুমিল্লা নগরীতে কলেজশিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তিনি।
মঙ্গলবার নগরীর রানীর দীঘির পাড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ হাফসার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করেছে। এক সন্তানের মা হাফসা আক্তার (২৩) জেলার সদর দক্ষিণ বড়তুলা মুন্সি বাড়ির প্রবাসী ওলিউল্লার মেয়ে। আর অভিযুক্ত গোলাম মাওলা ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
হাফসার ছোট ভাই নাজমুল হাসান জানান, হাফসা আক্তার ও গোলাম মাওলা ফারুকের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাদের কাছে খবর আসে হাফসা আক্তার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। তারা হাসপাতালে পৌঁছে হাফসার মরদেহ দেখতে পান।
হাফসার মরদেহ ভুল ঠিকানায় হাসপাতালে এন্ট্রি করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাফসার মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিসহ নানা অভিযোগে মারধর করত। বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কামাল উদ্দিন/এফএ/জেআইএম