আশুলিয়ায় অপহৃত শিক্ষার্থী কক্সবাজারে উদ্ধার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৯
প্রতীকী ছবি

আশুলিয়ার ভাদাইলের সাধুমার্কেট এলাকা থেকে অপহৃত সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। রোববার বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাম কৃষ্ণ দাস অপহৃতকে জীবিত উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে আটক করেন।

অপহৃতের বাবা বলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়ে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানাধীন গ্লোরিয়াস মডেল হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই বখাটে মারুফ আমার মেয়েকে উত্যক্তসহ রাস্তায় যাতায়াতকালে বিরক্ত করতো। এসব ঘটনায় বারবার তার অভিভাবককে অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৩১ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে মারুফ ও তার সহযোগী রাশেদ সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আমি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মুঠোফোনের কলের অবস্থান ও তালিকা ধরে কক্সবাজার সি নাইট নামের রিসোর্ট থেকে রোববার বিকেলে উদ্ধার করে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাম কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘গত ৩১ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে ভাদাইল এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একই জেলার ধামরাই থানার বাথুলী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মারুফ (১৮)। অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ২০০০ সালের (সংশোধনী-০৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করলে আমরা মুঠোফোনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহৃত ও অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্তের পর অভিযান পরিচালনা করি।

তিনি বলেন, ‘আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশ ও দিকনির্দেশনায় কক্সবাজারের সি নাইট রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে রোববার বিকেল ৩টার দিকে অপহৃতকে জীবিত উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি অপহরণকারী মারুফকেও সেখান থেকে গ্রেফতার করি। সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ২২ ধারায় অপহৃতার মৌখিক জবানবন্দীর জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অপহরণকারীকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আল-মামুন/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।