সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে পশুর হাট, প্রস্তুত ৫৬ হাজার গরু-ছাগল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির ঈদকে ঘিরে জেলার গরু ও ছাগলের হাটগুলো জমে উঠেছে। এবার ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় খুশি খামারি ও ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেন কোনভাবেই ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া খামারিরা এবার গরু মোটাতাজাকরণে ওষুধ প্রয়োগ থেকেও বিরত রয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, জেলায় খামারি রয়েছে ১২ হাজার ৭৩৩ জন। এসব খামারিদের কাছে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৬ হাজার ২৭৬টি বিভিন্ন প্রজাতির পশু।

এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় রয়েছে ৮১৩০টি গরু ও ৩৩৪৮টি ছাগল, কলারোয়া উপজেলায় ৫২৮৫টি গরু ও ৫৩২২টি ছাগল, তালা উপজেলায় ৭১৬৩টি গরু ও ৪১৮৬টি ছাগল, আশাশুনি উপজেলায় ২৯৯৩টি গরু ও ২০৫২টি ছাগল, দেবহাটা উপজেলায় গরু ১১৫৫টি ও ১১৮৬টি ছাগল, কলিগঞ্জ উপজেলায় ২৮১১টি গরু ও ৩৮২৬টি ছাগল এবং শ্যামনগর উপজেলায় ৩০৩৬টি গরু ও ৫৭৪৩টি ছাগল রয়েছে। জেলাজুড়ে কোরবানিযোগ্য গরু প্রস্তুত রয়েছে ৩০ হাজার ৫৭৩টি ও ছাগল ২৫ হাজার ৭০৩টি।

এছাড়াও মৌসুমি গরু-ছাগল পালনকারীদের আছেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোরবানির পশু রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তারা এসব গরু বা ছাগল পালন করে থাকেন। ঈদের সময়ে তারা বিক্রি করে দেন।

এমনই এক গরু পালনকারী তালা উপজেরার শিবপুর গ্রামের রুবেল মোল্লা। তিনি বলেন, আমার একটি গরু আছে। এখনও বিক্রি করিনি। আশা করছি, দুই লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি হবে। গরুটিকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করলে ক্রেতারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দামও কম হয়।

ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় আশার আলো দেখছেন গরু ব্যবসায়ীরা। পাটকেলঘাটা শাকদাহ এলাকার গরু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে খামারি ও ব্যবসায়ীরা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন।

ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের বিষয়ে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকজুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অবৈধভাবে যেন একটি গরুও দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চেকপয়েন্ট বসিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় ৫৬ হাজারেরও অধিক কোরবানিযোগ্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। ঈদের শেষ মুহূর্তের হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। প্রত্যেকটি পশুর হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। অসুস্থ ও ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে মোটাতাজা করা হয়েছে এমন সন্দেহ হলে পশুর হাটে থাকা মেডিকেল টিমকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।